কৃষি দিবানিশি
‘কৃষি দিবানিশি’ কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন। আমরা বিভিন্ন রকম ফসল যেমন- ধান, গম, ভূট্রা, পাট, পেয়ারা, পেপে, কলা, কুল, বড়ই, মাল্টা,মালটা, আম, লটকন সহ আরো অনেক সবজি জাতীয় ফসল যেমন - আলু, বাঁধাকপি, শিম, মূলা, মিষ্টিকুমড়া, করলা, কাঁকরোল, ঝিঁঙ্গা, গাজর, কলমীশাক, বেগুন, ফুলকপি, বরবটি, ঢেঁড়স, চালকুমড়া, শসা, ধুন্দল, পুঁইশাক, লালশাক, টমেটো, লাউ, পটল, ক্ষীরা, পানিকচু, ডাঁটা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি ফসলের রোগবালাই দমনে বালাইনাশক, কীটনাশক, সার, বিষ প্রয়োগ এবং ফসলের মৌসুম ও জাত সম্পর্কিত তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।

পটাশিয়াম সালফেট (ফাস্ট পটাশ বা কুইক পটাশ) কী এবং ব্যবহার করার নিয়ম

পটাশিয়াম সালফেট হলো লেব্লাঙ্ক প্রক্রিয়ায় সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে পটাশিয়াম ক্লোরাইডের বিক্রিয়া দ্বারা উৎপাদিত অদাহ্য সাদা স্বচ্ছ লবণ। যা সহজে..

পটাশিয়াম সালফেট (ফাস্ট পটাশ বা কুইক পটাশ) কী?

পটাশিয়াম সালফেট হলো লেব্লাঙ্ক প্রক্রিয়ায় সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে পটাশিয়াম ক্লোরাইডের বিক্রিয়া দ্বারা উৎপাদিত অদাহ্য সাদা স্বচ্ছ লবণ। যা সহজে পানিতে দ্রবণীয়। এটি সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা কুইক পটাশ বা ফাস্ট পটাশ হিসেবে কৃষিক্ষেত্রে অধিক পরিচিত।

পটাশিয়াম সালফেট

পটাশিয়াম সালফেট স্প্রে উপযোগী সার হিসেবে অধিক ব্যবহার করা হয়। ফল ও সবজির পটাশের ঘারতি পূরনে নিদিষ্ট মাত্রায় স্পে করা হয়। এর মাঝে ক্লোরাইড থাকে না, যা ফসলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে ফল ও সবজির জন্য পটাশিয়াম সালফেট খুবই উপকারী। এতে ক্লোরাইড না থাকায় সংবেদনশীল গাছের বৃদ্ধিতেও ব্যবহার করা যায়।

উপাদান

কুইক পটাশ বা ফাস্ট পটাশ এর মূল উপাদান পটাশিয়াম সালফেট। ইহাতে ৫০% পটাশিয়াম এবং ১৭% সালফার বিদ্যমান।

পটাশিয়াম সালফেট (কুইক পটাশ বা ফাস্ট পটাশ) ব্যবহারের উপকারিতা

  • গাছের পুষ্টি উপাদান পটাশিয়াম ও সালফার পাওয়া যায়
  • ক্লোরাইড মুক্ত তাই ক্লোরাইড সংবেদনশীল ফসলে ব্যবহার উপযোগী
  • লবণাক্ত মাটিতে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণে এমওপি সারের তুলনায় ফাস্ট পটাশ অধিক কার্যকর
  • পানিতে ১০০ ভাগ দ্রবণীয়, তাই গাছ সহজে গ্রহণ করতে পারে
  • অতি ক্ষরা, শীত ও রোগবালাই এর আক্রমণ প্রতিরোধে গাছের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • সংগ্রহকৃত ফসল পরিবহণে ও অধিক সময় সংরক্ষণে সহায়তা করে
  • ফলের আকার বড় হয়, ফলত্বকের রং সুন্দর ও মসৃণ করে এবং ফলের স্বাদ ও মিষ্টতা বৃদ্ধি পায়

ফসলে পটাশের অভাব জনিত লক্ষণ

  • বয়স্ক পাতার আগা ও কিনারা ঝলসে বা পুড়ে যায়
  • গাছের গোড়া ও কান্ড দুর্বল থাকায় গাছ সহজেই হেলে পড়ে
  • পাতা, ফুল ও ফল ঝরে পরে
  • গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও কুশির সংখ্যা কম হয়
  • বীজ ও ফল আকারে ছোট হয় এবং কুঁচকে যায়

প্রয়োগক্ষেত্র ও মাত্রা

ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ে ও ফুল-ফল ধারনের সময় প্রতি লিটার পানিতে ৩-৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে

সকালে বা বিকালে কম তাপমাত্রায় স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়

সতর্কতা

  • শিশু ও গৃহপালিত পশু-পাখির নাগালের বাহিরে রাখুন। 
  • খাদ্য সামগ্রী থেকে দূরে রাখুন।
  • ব্যবহার করার সময় ধুমপান, পানীয় ও আহার গ্রহণ করবেন না।
  • শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

অবাঞ্চিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন